মিষ্টি প্রেমালাপ

– ধুত্তুরি! তুমি এক বুড়ি থু্ত্তুরি!

– ধুত্তুর! তুমিওবা কীসের রাজপুত্তুর!

– তাই, না? তবুও তো কতশত বায়না!

– ইশ্ রে! ভাবটা এমন, কত কিছু দিস্ রে!

– আচ্ছা! কী পেলে বল হৃদয়টা তোর টলবে?

– থাক না। আমার শুধু তুমি হলেই চলবে।

© র, ২২.০৯.১৫

এলোচিন্তা

আমার আবেগগুলোকে শীতের সকালে আগুন পোহানোর ছলে ছাই বানিয়ে উড়িয়ে দিয়েছ। মনটাকে করেছ পাথর। সে পাথরেই আবার নিজেকে রক্তাক্ত করলে। কেন? যে ভালবাসা দিতে চেয়েছিল তাকে ফিরিয়ে দিলে, আর যে চায়নি তাকেই তোমার সব উজাড় করে দিতে হবে!

জলাধার টইটম্বুর হলে কিছুটা জল উপচে পড়ে। তোমার বেলায় তাও ঘটেনি। সব বাষ্প হয়ে উড়ে গেছে।

১৯.১২.১৪

যুদ্ধ জয়ের মাসে

মায়ের কোলে অবুঝ শিশু
অবুঝ হাসি হাসে,
বাংলা মাও হাসছে দেখো
যুদ্ধ জয়ের মাসে।

শিশিরগুলো মুক্তো হয়ে
ঝরে সবুজ ঘাসে,
লাল সবুজের পতাকা উড়াই
যুদ্ধ জয়ের মাসে।

বায়ান্ন আর একাত্তর আজ
চোখের সামনে ভাসে,
বীরসেনাদের স্মরণ করি
যুদ্ধ জয়ের মাসে।

এই মাটি ভিজবেনা আর
রক্তভেজা লাশে,
দেশ গড়ার স্বপ্ন বুনি
যু্দ্ধ জয়ের মাসে।

দেশ রক্ষায় যুদ্ধে যাবার
সময় যদি আসে,
যুদ্ধে যাবো, করছি শপথ,
যুদ্ধ জয়ের মাসে।

রনেল, ১৬.১২.১২

অণুকাব্য ১২

ভিনদেশী মেয়েটার
প্রেমে পড়া ভুল ছিল,
টানা টানা চোখ তার
বাদামি চুল ছিল।

সবই ছিল তারপরও
কী যেন ছিল না,
বাবা মা তাই তাকে
ঘরে তুলে নিল না।

১৮.০৯.১০

কথা বার্তা

প্রেম হবে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত। নোটখাতায় হিসেব কষে কখনও প্রেম হয় না। অনেকখানি ভালবাসা আর একটুখানি পাগলামী যদি না-ই থাকে তবে সেটা কিসের প্রেম!

সাত পাঁচ ভেবে প্রেম করতে গেলে দিনশেষে শুধু দুশ্চিন্তা আর কষ্টই জুটবে। প্রেমদরিয়ায় একবার ডুব দিয়েই দেখুন, সাঁতার আপনা আপনি শিখে যাবেন।